বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গতকাল বলেছেন, তিনি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে নন, তবে নিষিদ্ধ হলে তার নিজের দল কী করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় গয়েশ্বর হুঁশিয়ারি দেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত না হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না।
“আমরা চাই দেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করুক এবং সংসদ গঠন করুক। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পরবর্তী সরকার গঠন করতে চাই। এটাই ছিল বিপ্লবের মর্মকথা।” বলেছেন
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে জাতি আগামী সাধারণ নির্বাচনের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল সরকারকে যুক্তিসঙ্গত সময় দেবে। “সেই সময় শেষ হলে তারিক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি নিশ্চয়ই ঘরে বসে থাকবে না। আমরা ভবিষ্যতে বাস্তবতার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
জাগ্রতা বাংলাদেশ ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর জানতে চাইলেন আওয়ামী লীগের এত নেতা কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশে গেলেন? “কে তাদের পালাতে উৎসাহিত করেছে এবং সাহায্য করেছে? কে জবাব দেবে? কারা অপরাধীদের বিনা বিচারে পালাতে দিয়েছে? সরকার কী জবাব দেবে?”
দেশে সাংবিধানিক সংকট এড়াতে দলের নেতাদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
বুধবার রাতে আওয়ামী লীগপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ জারি করেছে।