‘ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের অন্যায়ভাবে হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে
শহীদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সারজিস আলম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় গণহত্যায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা না হলে ভবিষ্যতে আরও রক্তপাত ঘটতে পারে।
তিনি বলেন: “আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে; তা না হলে আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, সেখানে ভবিষ্যতে আরও অভ্যুত্থান ও রক্তপাত হতে পারে।
শনিবার রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সারগিস জোর দিয়েছিলেন যে পুলিশ অফিসাররা যারা ছাত্র আন্দোলনে অন্যায়ভাবে প্রতিবাদকারীদের হত্যা করে তাদের বাংলাদেশের আইনে বিচারের আওতায় আনা উচিত। বদলি ছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশের অন্য কোনো শাস্তি নেই। শুধু বদলিকে অপরাধের শাস্তি হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন যে জুলাই বিপ্লবের পরে পুলিশ যে ইমেজ সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিল, তবুও কিছু অফিসার কিছু গোষ্ঠী বা উপদলের জন্য পর্দার আড়ালে কাজ করছেন।
“মিথ্যা মামলা এই দেশে একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, কিছু পুলিশ অফিসার হয় নীরব পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করে বা ভবিষ্যতের সুবিধার জন্য নিজেদের অবস্থান করে,” তিনি যোগ করেন।
সরজিস আলম বলেন, গত তিন নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেছে এবং দলমত নির্বিশেষে সংসদে আসন পাওয়ার সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগের বৈধতাকে সমর্থন করেছে তারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী।
তিনি বলেন, “আমরা এমন বাংলাদেশ চাই না যেখানে এক গোষ্ঠী অন্যকে শোষণ করে ক্ষমতা লাভ করে। ছাত্র ও জনগণের রক্তে যে বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি এবং আমাদের ভাই আবু সাঈদ যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই বাংলাদেশ গড়তে কেউ যেন আমাদের বাধা না দেয়। যদি কেউ করে, আবার দেখা হবে রাস্তায়। আমরা এখনও আমাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। এই সংগ্রাম রাজপথে লড়বে, নয়তো বিজয়ে শেষ হবে।”
এর আগে সকালে সারগিস আলম পুলিশের মহাপরিদর্শক মইনুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে পীরগঞ্জের বাবুনপুরে শহীদ আবু সাইদের কবরে শ্রদ্ধা জানান এবং তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সারজিস আলম।